প্রকাশিত: ১৭/০৭/২০১৭ ২:২১ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৩৮ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে এক পর্যায়ে ছাত্রলীগকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। নিহতের নাম খালেদ আহমদ লিটু। তিনি ওই কলেজের ছাত্র নন। পুলিশ জানিয়েছে, খালিদ একপক্ষের হয়ে মারামারি করতে এসেছিলেন।

সোমবার দুপুরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম পল্লব ও জেলা ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক পাভেল মাহমুদ পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর একপর্যায়ে খালিদকে একটি কক্ষে নিয়ে গুলি করা হয়। তবে কারা গুলি করেছে সেটা এখনো জানা যায়নি।

নিহত খালেদ আহমদ স্থানীয় কসবা নয়াটিলা এলাকার খলিল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পাভেল পক্ষের কর্মী বলে জানা গেছে। খালেদ পেশায় মোবাইল দোকানদার।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা ঢাকাটাইমসকে জানান, দুপুরে আধিপত্য নিয়ে ছাত্রলীগের দুইপক্ষে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর কলেজের একটি শ্রেণিকক্ষে কয়েকজন যুবক খালেদকে গুলি করে পালিয়ে যায়। তাকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় কলেজ এবং সিলেট ছাত্রলীগের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারও কোনো নাশকতার আশঙ্কায় কলেজ ও আশপাশ এলাকায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে আবুল কাশেম পল্লব ও পাভেল মাহমুদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সম্প্রতি সিলেটের অন্তঃকোন্দলে ছাত্রলীগের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসও ভাঙচুর হয়েছে এই কোন্দলের জেরেই।

পাঠকের মতামত

বিএনপির আসনভিত্তিক প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত, কক্সবাজার-১ সালাহউদ্দিন আহমেদ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনভিত্তিক একক প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে বিএনপি। এরই মধ্যে হাইকমান্ড ...